[ছবি: Pixaby]
কল্পনা করুন—দুটো বিশাল গ্যালাক্সি একে অপরের দিকে ছুটে আসছে! সংঘর্ষ হতেই গ্যাস আর ধূলিকণা সংকুচিত হয়। আর তখনই শুরু হয় নতুন তারা বা নক্ষত্রের জন্ম—শত গুণ দ্রুত গতিতে! এমনটা ঘটবে যখন আমাদের মিল্কিওয়ে আর আন্ড্রোমেডা এক হবে, তবে সেটা লক্ষ লক্ষ বছর পর!
আরেকটা টুইস্ট আছে! গ্যালাক্সির কেন্দ্রে লুকিয়ে থাকা বিশাল ব্ল্যাক হোল। এটা গ্যাসকে উত্তপ্ত করে, টেনে নিয়ে সংকুচিত করে। ফলাফল? স্টার বা নক্ষত্র জন্মের এক মহাজাগতিক উৎসব! এই প্রক্রিয়ায় পুরো গ্যালাক্সি জ্বলে ওঠে আলোর ঝলকানিতে!
স্টারবার্স্ট গ্যালাক্সির একটা সিক্রেট সিগনেচারও আছে—ইনফ্রারেড রশ্মি! নতুন তারার জন্মে ধূলিকণা উত্তপ্ত হয়, আর এই রশ্মি ছড়ায়। এ কারণে এই গ্যালাক্সিগুলো মিলিয়ন মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূর থেকেও ঝলমল করে! জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ইনফ্রারেড টেলিস্কোপ দিয়ে এদের রহস্য খুঁজে বের করছেন।
এখানেই শেষ নয়! স্টারবার্স্টে জন্মানো বিশাল তারাগুলো দ্রুত সুপারনোভায় বিস্ফোরিত হয়। এই বিস্ফোরণে লোহা, কার্বন, অক্সিজেনের মতো মৌল ছড়িয়ে পড়ে। জানেন কী? এই মৌলগুলোই গ্রহ তৈরি করে, এমনকি আমাদের মতো প্রাণের জন্যও এটা অপরিহার্য এবং জরুরি! স্টারবার্স্ট শুধু তারার গল্প নয়—এটা মহাবিশ্বের বিবর্তনের মূল চাবিকাঠি!
কিছু রিয়েল উদাহরণ দেখুন! আলোচিত গ্যালাক্সি-
মেসিয়ার ৮২—১২ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে, ইনফ্রারেডে ঝকঝকে! আর এন্টেনি গ্যালাক্সি? দুটো গ্যালাক্সির সংঘর্ষে তৈরি এক তারার জন্মের কারখানা! এখানে প্রতি মুহূর্তে সুপারনোভা ঘটেই চলেছে!
স্টারবার্স্ট শুধু একটা ঘটনা নয়—এটা মহাবিশ্বের হৃৎপিণ্ডের ধুকপুক! এটা আমাদের বলে কীভাবে গ্যালাক্সি তৈরি হয়, কীভাবে প্রাণের বীজ ছড়ায়। আধুনিক টেলিস্কোপ এই রহস্য উন্মোচন করছে, আর আমরা মহাবিশ্বের গভীর গল্প জানতে পারছি!
Tags:
বিজ্ঞান জগৎ