দুনিয়ার যত প্রোডাক্টিভ মানুষ, তারা তো সারাদিন ব্যস্ত—কিন্তু হতাশাগ্রস্ত মানুষ? ওরা একেবারে 'ভবিষ্যতের চিন্তক'। কিভাবে?
হতাশ মানুষদের চিন্তার গভীরতা এতটাই বেশি, যে আপনি পাশে বসে শুধু হ্যাঁ-হুঁ করলেই ডুব দিবেন। ‘আমি যদি পিঁপড়ে হতাম’, ‘অস্তিত্বের মানে কি’, ‘আমার ছায়াটাও কি আমার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে?’ — এমন সব দর্শনের খোরাক তারা নিজেই জোগায়।
যেখানে সবাই ইনস্টাতে হ্যাপি লাইফ দেখায়, ওরা সেখানে "Sad, but aesthetic" ক্যাপশনে এক কাপ চায়ের পাশে আধাভেজা ডায়েরি আর ফোঁটা ফোঁটা জল। ইনস্টা ফিল্টার নয়, জীবনটাই ফিল্টারবিহীন!
হতাশ মানুষকে সপ্তাহে একবার একটা ‘কেমন আছো?’ মেসেজ দিলেই সে বলে—“বেঁচে আছি, এটাই অনেক।” আপনি চাইলে এভাবে বছরের বন্ধুত্ব চালাতে পারবেন।
সতর্কতা: বেশি খোঁজ নিলে আপনাকেই থেরাপিস্ট বানিয়ে ফেলবে।
হতাশাগ্রস্ত মানুষ জানে কোন গান শুনলে চোখে জল আসবে, কোন কবিতা পড়ে আপনি existential crisis-এ যাবেন। ওদের প্লেলিস্ট মানে—“সুখ থাকলেও কাঁদতে ইচ্ছে করে এমন কিছু”।
ওদের রুমে ঢুকলে আপনি ভাববেন, বুঝি কোনো ফিল্মের যুদ্ধশেষের দৃশ্য চলছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো—ওরা সেই যুদ্ধের “একজন মাত্র সৈনিক” যারা একাই ‘রুম’ দখলের জন্য লড়াই করেছে।
আরও একটা লুকানো গুণ এদের আছে, এরা আপনার প্রোডাক্টিভিটিকে বাতিল করবে- সেটা যেভাবেই হোক। অথচ এঁদের পকেট বহুকাল ধরে ফোর্ট উইলিয়মের-
" গড়ের মাঠ "।