কী নিয়ে এই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছেন?

আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ বিশ্বাসকেই সঠিক মনে করি—এটাই মূল সমস্যা। পারিবারিকভাবে লালিত ধর্মবিশ্বাস আর সব ধর্ম গভীরভাবে জেনে-বুঝে নিজে থেকে বেছে নেওয়ার মধ্যে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। আমরা যে পরিবেশে বড় হই, সেই বিশ্বাসের প্রভাবেই নিজেদের ‘সঠিক’ দাবি করি। এটি কোনো যুক্তি বা পর্যবেক্ষণের ফল নয়; বরং পারিবারিক সিদ্ধান্তের প্রতি এক ধরনের অন্ধ আনুগত্য এবং চূড়ান্ত সত্যের দাবিদার হয়ে ওঠার একধরনের বুদ্ধিবিবর্জিত আত্মতুষ্টি।

যারা এই ব্যক্তিগত জ্ঞানের শূন্যতা উপলব্ধি করতে পেরেছেন, তাঁদের মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গি স্বতন্ত্র ও গভীরতর হয়ে ওঠে। তাঁদের উপলব্ধিই ‘প্রকৃত সত্য’-এর কাছাকাছি পৌঁছাতে সক্ষম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই সত্যের সন্ধান করা কিংবা তাকে স্বীকার করার মতো সততা ও সাহস খুব অল্প মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। এখানেই মূল সমস্যা ও দ্বন্দ্বের সূচনা।

ঠিক এখান থেকেই আমরা পৈতৃক সম্পত্তির মতো বিশ্বাস আঁকড়ে ধরে একে অন্যকে ধর্মের নামে আঘাত করি, তিরস্কার করি কিংবা কটাক্ষ করে নিজের মধ্যকার অশালীনতা ও অশোভন মানসিকতার পরিচয় দিই—যা একেবারেই ঘৃণিত। এবং বিস্ময়কর হলেও সত্য, এইরকম সংঘাত কিন্তু তাঁদের ধর্মেই নিষিদ্ধ।

দিনশেষে আমাদের একটাই পরিচয়—আমরা মানুষ। আমরাই যদি একে অপরকে সম্মান করতে না শিখি, ভালোবাসতে না পারি, তবে অন্য প্রাণীদের থেকে নিজেদের আলাদা বলে দাবি করব কীভাবে?

আমি কি ভুল কিছু বলেছি?

Post a Comment

মন্তব্য করতে পারেন

Previous Post Next Post