একটা সময় ছিল যখন একটা বিয়ে বাড়ির আয়োজন মানেই বাপ-চাচার ঘাম ছুটে যেত, দৌড়াদৌড়ি, টেনশন, কে কী ভুল করল সেই নিয়ে অভিযোগ—সব মিলিয়ে একরকম যুদ্ধ পরিস্থিতি। কিন্তু এখন? সামান্য কিছু খরচ করলেই সব ম্যানেজ হয়ে যায়, সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানও হয়, পরিবারের সবাই নিশ্চিন্ত থাকে। এই ব্যবস্থাটার নামই ম্যানেজমেন্ট। যেটার জন্য অভিজ্ঞ ম্যানেজমেন্ট গোষ্ঠীর বা প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নেওয়া একটি সাধারণ চুক্তির মাধ্যমে। তারাই সব করে দেবে, আপনি শুধুমাত্র আপনার মেয়ের হাতটা তুলে দেবেন জামাইয়ের হাতে। বিনিময়ে ঐ কোম্পানি টাকা নেবে ঠিকই, কিন্তু—ঘরের ব্যবস্থা করবে, রান্নার উপযুক্ত ব্যক্তির সরবরাহ করে রান্নাও নিশ্চিত করবে। ঐ কোম্পানির মাধ্যমে একদল "খাবার পরিবেশন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করবে", কেউ বা সুন্দর করে গেট সাজিয়ে দেবে, একদল অতিথিদের জন্য বসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। আপনাকে কিছুই করতে হবে না। এই ‘ম্যানেজমেন্ট’ শুধু বিয়ে বাড়িতেই না, জীবন আর রাষ্ট্র পরিচালনার অনেক জায়গায় প্রযোজ্য। যেমন ধরুন, বিশ্বের বিভিন্ন বন্দর—মানে নানা ধরনের কাজের জায়গা, যেগুলো দক্ষভাবে হ্যান্ডেল করতে হয়। এই কাজগুলো ঠিকভাবে করতে গেলে অনেক সময় একা সম্ভব হয় না, তাই বিশ্বের অনেক দেশই তাদের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর, স্থাপনা বা ইনফ্রাস্ট্রাকচার পরিচালনার জন্য অভিজ্ঞ তৃতীয় পক্ষের সহায়তা নেয়।
এটা সারা বিশ্বে স্বাভাবিক একটা প্র্যাকটিস। এতে দেশ বিক্রি হয় না, বরং দেশের সম্পদ আরও কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হয়। এই ভাবনাটাই হলো আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি—ম্যানেজমেন্ট মানে সুশৃঙ্খলতা, দক্ষতা আর সমাধান। কাজের পেছনে যখন পরিকল্পনা আর বিশ্বাস থাকে, তখন সেটা দুর্বলতা নয়, বরং বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।
খুব খারাপ লাগে যখন এই সমস্ত বিষয়কে ছড়িয়ে দিয়ে একধরনের বোকা বানিয়ে এক শ্রেণির মানুষ গোপনে হাসে আর মজা নেয়। রাজনৈতিক স্বার্থও কখনও কখনও এটা করে থাকে। আমাদের উচিত বিষয়টি না জেনে থাকলে সেটা জেনে নেওয়ার পর পোস্ট/মন্তব্য/মাখামাখি করা, যাতে কেউ বোকা বানিয়ে গোপনে হাসতে না পারে। আর এজন্য খুব বেশি পরিশ্রম এবং খুব বেশি দূর যেতেও হবে না। আপনার হাতের মোবাইল যথেষ্ট। শুধু লিখুন "আধুনিক বন্দর ব্যবস্থাপনা" বা এরকম রিলেটেড কীওয়ার্ডস। পেয়ে যাবেন।
